🔥মাত্র ৫ মিনিটে জেনে নিন ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়!
♦️ডায়াবেটিস রোগ কি?
ডায়াবেটিস (Diabetes) হলো একটি মেটাবলিক রোগ, যেখানে শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। এটি তখন হয় যখন অগ্ন্যাশয় (Pancreas) ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় বা শরীর ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
♦️ডায়াবেটিসের ধরন:
1. টাইপ ১ ডায়াবেটিস – এটি অটোইমিউন ডিজঅর্ডার, যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।
2. টাইপ ২ ডায়াবেটিস – শরীর ইনসুলিন তৈরি করলেও তা সঠিকভাবে কাজ করে না (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)।
3. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস – গর্ভাবস্থায় নারীদের মধ্যে দেখা যায়, পরে স্বাভাবিক হয়ে যায় তবে ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
♦️ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ:
✔ বারবার প্রস্রাব হওয়া (Frequent Urination)
✔ অতিরিক্ত পিপাসা লাগা (Excessive Thirst)
✔ অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা (Extreme Hunger)
✔ ওজন কমে যাওয়া (Unexplained Weight Loss)
✔ ক্লান্তি ও দুর্বলতা (Fatigue)
✔ ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া (Slow Healing of Wounds)
✔ ঝাপসা দেখা (Blurred Vision)
♦️ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের টেস্ট:
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য নিচের টেস্টগুলো করা হয়—
1. ফাস্টিং ব্লাড সুগার (FBS) – খালি পেটে ব্লাড সুগার পরিমাপ (≥126 mg/dL হলে ডায়াবেটিস)।
2. অগ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT) – নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্লুকোজ গ্রহণের পর রক্তে সুগারের মাত্রা দেখা হয়।
3. HbA1c (Glycated Hemoglobin Test) – এটি বিগত ৩ মাসের গড় রক্তে সুগারের মাত্রা নির্ধারণ করে।
4. র্যান্ডম ব্লাড সুগার (RBS) – যে কোনো সময় নেওয়া রক্তের নমুনার মাধ্যমে পরীক্ষা (≥200 mg/dL হলে ডায়াবেটিস)।
♦️ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়:
✅ সঠিক ডায়েট অনুসরণ – কম কার্বোহাইড্রেট ও চিনি, বেশি প্রোটিন ও ফাইবার গ্রহণ।
✅ নিয়মিত ব্যায়াম – প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করা।
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণ – ওজন ঠিক রাখতে হবে, কারণ অতিরিক্ত ওজন টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
✅ নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ – ডাক্তার প্রদত্ত ইনসুলিন বা ওষুধ নিয়ম মেনে খাওয়া।
✅ পর্যাপ্ত পানি পান – শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন।
✅ স্ট্রেস কমানো – মানসিক চাপ ডায়াবেটিসকে বাড়িয়ে দিতে পারে।