দুই ছেলে বিদেশে বন্দি, দিশেহারা যশোরের এক দরিদ্র পরিবার

দুই ছেলে বিদেশে বন্দি, দিশেহারা যশোরের এক দরিদ্র পরিবার 

🌐যশোরের সদর উপজেলার বড় মেঘলা গ্রামের দরিদ্র দম্পতি খায়রুল সরদার (৭০) ও হাসিনা বেগম (৬০) ভালো ভবিষ্যতের আশায় সর্বস্ব খুইয়ে দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে, তাঁদের বড় ছেলে জাফর সরদার (৩৫) রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে আর ছোট ছেলে বজলুর রহমান (৩০) মালয়েশিয়ার কারাগারে বন্দি!  

দুই ছেলে বিদেশে বন্দি, দিশেহারা যশোরের এক দরিদ্র পরিবার

🌐**বিদেশে যাওয়ার নামে প্রতারণার শিকার জাফর সরদার**  

ঢাকার ‘ড্রিম হোম ট্রাভেলস’ নামক একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জাফর সরদারকে সাইপ্রাসে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিদেশগমন খরচ জোগাতে পরিবারটি এনজিও থেকে ঋণ নেয়, মায়ের ও স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে এবং সুদে টাকা ধার করে প্রায় ৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাইপ্রাসে পাঠানো হয়নি! বরং, তাঁকে সৌদি আরব, দুবাই ও লিবিয়া ঘুরিয়ে অবশেষে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।  

সেখানে দালালচক্র তাঁকে এবং আরও ৯ জন বাংলাদেশিকে রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। পালিয়ে দেশে ফিরেছেন নরসিংদীর আকরাম নামে একজন যুবক, কিন্তু জাফরসহ বাকিরা এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দি! জাফরের সর্বশেষ মেসেজ ছিল, **“যেকোনো মূল্যে আমাকে দেশে ফিরিয়ে নাও”**—এই আকুতি নিয়েই তার পরিবার আজও অপেক্ষায়।  

🌐**মালয়েশিয়ার কারাগারে বন্দি বজলুর রহমান**  

বজলুর রহমান কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন, কিন্তু কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যার কারণে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে আটক করে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার কারাগারে আছেন। যেহেতু তাঁর নিয়োগকারী এজেন্সির পক্ষ থেকে কেউ সহায়তা করছে না, তাই তাঁর পাসপোর্টে লাল সিল মারা হয়েছে এবং তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।  

🌐**দরিদ্র পরিবারের দুর্বিষহ জীবন**  

এই সংকটের মধ্যে দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতি-নাতনিকে নিয়ে দিশেহারা খায়রুল সরদার। সামান্য চায়ের দোকানের আয় দিয়ে এত বড় সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সংসার চালানোর জন্য হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল সব বিক্রি করেও টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে পুত্রবধূদের তাঁদের বাপের বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

🌐**সরকারের কাছে পরিবারের আকুল আবেদন**  

পরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যে রুশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সাহায্যের আবেদন করেছেন। ঢাকায় কয়েক দফা মানববন্ধনও করেছেন স্বজনেরা। জাফরের মা হাসিনা বেগম বলেন, **“আমার বুকের মানিক দুই ছেলে দুই দেশে বন্দি, আমি আর কতদিন এভাবে বাঁচবো? আমাদের সাহায্য করুন!”**  

এই দুর্দশাগ্রস্ত পরিবার সরকারের সহায়তা এবং মানবাধিকারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। তাঁদের একমাত্র চাওয়া—**দুই সন্তানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা!**  

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

হ্যসট্যাগ সমূহঃ

#আমারসন্তানফিরিয়েদিন             🔹 #BringBackMySons  🔹 #EndHumanExploitation
🔹 #JusticeForMigrantWorkers  🔹 #প্রবাসীরদুর্দশা  🔹 #রাশিয়ারযুদ্ধে_বাংলাদেশি
🔹 #StopHumanTrafficking  🔹 #দালালদেরবিচারচাই  🔹 #StrandedInMalaysia  
🔹 #BangladeshiWarPrisoner  🔹 #বাংলাদেশি_যুদ্ধবন্দি  🔹 #প্রতারিতপ্রবাসী
🔹 #SaveMigrantLives  🔹 #মানবতারদাবি  🔹 #TrappedInRussia   🔹 #মালয়েশিয়ায়বন্দি_বাংলাদেশি
Next Post Previous Post