ব্যাংকক ও মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ভ্রমণ কতটুকু নিরাপদ?
ব্যাংকক ও মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ভ্রমণ কতটুকু নিরাপদ?
২৮ মার্চ, ২০২৪, স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা থাইল্যান্ড, চীন, লাওস এবং বাংলাদেশ পর্যন্ত অনুভূত হয়।
ব্যাংককে ভবন ধসে প্রাণহানি ও উদ্ধার অভিযান
ভূমিকম্পের কারণে ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে পড়ে, এতে তিনজন নিহত এবং ৮১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬৯টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ব্যাংকককে ‘দুর্যোগপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্দালয় শহরের কাছে, এবং এর মাত্র ১০ মিটার গভীরে হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। পরবর্তীতে ৬.৪ মাত্রার একটি আফটারশকও অনুভূত হয়। মান্দালয় বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে এবং দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হোটেল ও মসজিদ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন।
ব্যাংককে ভ্রমণ নিরাপদ কি?
থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, তবে ভূমিকম্পের কারণে নগরীর মেট্রো ও রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার পথে। ব্যাংককের প্রধান বিমানবন্দর **সুভর্ণভূমি (Suvarnabhumi Airport)** এখন স্বাভাবিকভাবে চালু রয়েছে এবং ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিসের পরামর্শ:
“যদি আপনি থাইল্যান্ডে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং স্থানীয় সংবাদ মনিটর করুন।”
মিয়ানমারে ভ্রমণের ঝুঁকি
মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলে বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে এবং আফটারশকের ঝুঁকি থাকায় ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভ্রমণ বীমা ও বাতিল নীতি
যদি সরকার কোনো নির্দিষ্ট এলাকা অনিরাপদ ঘোষণা করে তবে এয়ারলাইনস ফ্লাইট বাতিল করতে পারে, তবে সাধারণত যাত্রীরা তাদের বুকিং পরিবর্তন করতে পারেন। কিছু বীমা পরিকল্পনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কভার করা হয়, তাই নীতিমালা ভালোভাবে যাচাই করে নিন।আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে আপনার এয়ারলাইন, ট্রাভেল এজেন্ট বা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন।
✅আরো সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।