মালয়েশিয়া: প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় নিবাস হয়ে উঠছে

♦️মালয়েশিয়া: প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় নিবাস হয়ে উঠছে♦️  

মালয়েশিয়া: প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় নিবাস হয়ে উঠছে

✅মালয়েশিয়া ক্রমশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দ্বিতীয় নিবাসে পরিণত হচ্ছে। কারখানা, ওষুধশিল্প, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশিরা বিপুল বিনিয়োগ করছেন। অনেকে রাজধানী কুয়ালালামপুর এবং অন্যান্য বড় শপিংমলে দোকান কিনেছেন। এছাড়াও স্বর্ণ, খেলনা, তৈরি পোশাকের মতো ব্যবসায়ও জড়িত রয়েছেন অনেকেই।  


তবে, এসব বিনিয়োগের বেশিরভাগই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই করা হয়েছে। বৈধ প্রক্রিয়া ছাড়াই তারা মালয়েশিয়ায় টাকা নিয়ে গেছেন এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। এই বিষয়ে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের সদস্য ডা. শংকর পোদ্দার বলেন, যারা মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে যুক্ত হয়েছেন, তারা মূলত নিজেদের নিরাপত্তা এবং বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  


তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সরকারকে এই বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত। কেন মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করতে যাচ্ছে? মালয়েশিয়া যা করতে পারছে, বাংলাদেশ কেন তা পারছে না? তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশ কবে অন্য দেশের মানুষের জন্য সেকেন্ড হোমে পরিণত হবে?  


বর্তমানে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশে বিনিয়োগের জন্য খুব কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। তবে, কানাডা ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের সেকেন্ড হোম তৈরি, সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল হোটেলের মালিকানা এবং সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখার মতো ঘটনাগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থই এসব খাতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।  


মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে বাংলাদেশিদের অবস্থান একসময় তৃতীয় স্থানে ছিল, কিন্তু এখন তা চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে। এর আগে সরকার বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য নামমাত্র করের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু এই সুযোগ কেউই গ্রহণ করেননি।  


বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের উচিত আইনের প্রয়োগ জোরদার করে বিদেশে টাকা পাচার রোধ করা। এছাড়াও, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য আকর্ষণীয় নীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন।  


**কীভাবে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের আকর্ষণ করছে?**  

- বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ  

- সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের সুবিধা  

- রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বড় শহরগুলোর উন্নত অবকাঠামো  

**সরকারের করণীয়:**  

- বিদেশে টাকা পাচার রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন  

- দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়ন  

- বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য আকর্ষণীয় নীতি  


মালয়েশিয়ার সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকেও অন্যান্য দেশের মানুষের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করার চেষ্টা করা উচিত।

Next Post Previous Post