পরকীয়া প্রেমের বৃদ্ধির কারন ও পরকীয়া প্রেম বইটি ডাউনলোড করুন
পরকীয়া প্রেমের বৃদ্ধির কারন ও পরকীয়া প্রেম বইটি ডাউনলোড করুন
পরকীয়া প্রেমের বৃদ্ধি সমাজে নানা মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফল। এটি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কয়েকটি মূল কারণ চিহ্নিত করা যায়—
১. ডিজিটাল সংযোগ ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
বর্তমানে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহজলভ্যতা মানুষের জন্য নতুন নতুন সম্পর্কে জড়ানোর সুযোগ তৈরি করছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মাধ্যমের কারণে পুরোনো বন্ধু বা অপরিচিত মানুষের সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে, যা অনেক সময় পরকীয়ার দিকে নিয়ে যায়।
২. সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি আসা একটি সাধারণ ঘটনা। অনেক দম্পতি তাদের বৈবাহিক বা প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে আবেগের অভাব অনুভব করেন এবং নতুন কারও সঙ্গে রোমাঞ্চ খোঁজেন।
৩. মানসিক ও শারীরিক চাহিদার অপূর্ণতা
যেসব সম্পর্কে মানসিক সমর্থন বা শারীরিক ঘনিষ্ঠতার অভাব থাকে, সেগুলোর ক্ষেত্রে মানুষ বিকল্প সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেন। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের প্রতি উদাসীনতা বা সংযোগের অভাব থাকলে পরকীয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।
৪. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন
আধুনিক যুগে নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এসেছে। একইসঙ্গে পুরুষ ও নারীর কর্মক্ষেত্রে মেলামেশার সুযোগ বাড়ায় সম্পর্ক তৈরির সম্ভাবনাও বেড়েছে।
৫. সংস্কৃতি ও বিনোদন মাধ্যমের প্রভাব
বর্তমান সময়ের সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, নাটক ও উপন্যাসগুলোতে পরকীয়া সম্পর্ককে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা মানুষের মনোভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই বাস্তবে এগুলো অনুসরণ করতে আগ্রহী হন।
৬. প্রযুক্তির মাধ্যমে গোপনীয়তা রক্ষা
আগে পরকীয়া সম্পর্ক গোপন রাখা কঠিন ছিল, কিন্তু এখন বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ, সিক্রেট চ্যাট ও ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অনেকেই গোপনে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারছেন, যা পরকীয়ার মাত্রা বাড়াচ্ছে।
৭. নৈতিক মূল্যবোধের পরিবর্তন
সমাজে সম্পর্কের ধরন ও গ্রহণযোগ্যতা পরিবর্তন হচ্ছে। আগের তুলনায় আজকাল মানুষ ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধতা কমিয়ে দিচ্ছে।
৮. প্রতিশোধমূলক মনোভাব
কখনও কখনও একজন সঙ্গীর প্রতারণা বা অবহেলার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অপর সঙ্গীও পরকীয়ার দিকে ঝুঁকতে পারেন। এটি এক ধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া যা অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
উপসংহার
পরকীয়া প্রেমের বৃদ্ধি একটি বহুমাত্রিক সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা। এর মূল কারণ হলো সম্পর্কের ভাঙন, ডিজিটাল যুগের প্রভাব, আবেগের অভাব ও আধুনিক জীবনের পরিবর্তনশীলতা। তবে সচেতনতা, আন্তরিকতা ও সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
✅পরকীয়া প্রেম বইটি লিখেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
**সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র**
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা ভাষার এক বিশিষ্ট কবি ও ঔপন্যাসিক, যিনি তার লেখনী দিয়ে পাঠকদের মন জয় করেছেন। ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী এই সাহিত্যিক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৫৩ সালে তিনি স্বনামধন্য সাহিত্য পত্রিকা **"কৃত্তিবাস"** প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাংলা কবিতা ও সাহিত্যচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। তার সাহিত্যজীবন ছিল বর্ণাঢ্য ও সমৃদ্ধ, যেখানে কবিতা, উপন্যাস এবং প্রবন্ধের এক অসাধারণ সমন্বয় দেখা যায়।
জীবন ও কর্ম
- **জন্ম:** ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪, ফরিদপুর, বাংলাদেশ (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত)
- **মৃত্যু:** ২৩ অক্টোবর ২০১২, কলকাতা, ভারত
- **দাম্পত্য জীবন:** ১৯৬৭ সালে স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দাম্পত্য জীবন ছিল দীর্ঘ ৪৫ বছরের।
- **সাহিত্য অবদান:** কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধসহ বাংলা সাহিত্যের নানা শাখায় অবদান রেখেছেন।
- **সম্পাদকীয় কাজ:** "কৃত্তিবাস" পত্রিকার মাধ্যমে তরুণ কবিদের সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করেছেন।
সাহিত্য ও চলচ্চিত্র
তার রচিত অনেক উপন্যাস এবং গল্প পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে রূপ পেয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম:
- **প্রতিদ্বন্দ্বী**
- **দেখা**
- **মনের মানুষ**
- **মিশর রহস্য**
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
তার সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার লাভ করেন, যেমন:
- **আনন্দ পুরস্কার**
- **সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার** (বাংলা সাহিত্যের অবদানের জন্য)
- **হিন্দু সাহিত্য পুরস্কার**
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্য আজও বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের মনে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তার লেখা সময়ের সীমানা পেরিয়ে চিরকাল পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।
✅বইটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
✅আমাদের ওয়েবসাইটে আরো সংবাদ পেতে ক্লিক করুন।