মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
চীন ও ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে দ্বিগুণ অগ্রগতি
✅বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আবারও বৈশ্বিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থান প্রমাণ করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন বাজারে দেশের পোশাক রফতানি চীন ও ভিয়েতনামের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
✅বিজিএমইএ’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাফল্য
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস (অটেক্সা)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি ২০২৪-এ বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি করেছে মার্কিন বাজারে। এটি ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫.৯৩% বেশি, যেখানে গত বছর একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশ কতটা এগিয়ে?
বাংলাদেশের তুলনায় চীন ও ভিয়েতনাম যথাক্রমে মাত্র ১৩.৭২% ও ১৯.৯০% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অন্যদিকে, ভারত ও পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৩.৬৪% এবং ১৭.৫০%।
✅বাংলাদেশের পোশাক খাতের উত্থানের কারণ কী?
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের এ অগ্রগতির পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ:
প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ: বিশ্ব বাজারে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগতমানের পোশাক সরবরাহ।
টেকসই উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব কারখানা: বাংলাদেশে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক LEED সার্টিফাইড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে।
বহুমুখী বাজার সম্প্রসারণ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য বাজারের পাশাপাশি মার্কিন বাজারেও শক্তিশালী উপস্থিতি।
চীন-ভিয়েতনামের বিকল্প সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা এখন চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
✅বাংলাদেশের পোশাক রফতানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাপী পোশাকের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ তার উৎপাদন সক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে আরও শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
এই সাফল্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দেশের পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।