সৌদি আরবের নতুন ভিসা নীতিমালা

সৌদি আরবের নতুন ভিসা নীতিমালা

সৌদি-আরবের-নতুন-ভিসা-নীতিমালা
১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য একাধিকবার প্রবেশের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

সৌদি আরব ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসা নীতিমালা কার্যকর করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতসহ মোট ১৪টি দেশের পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং পরিবার-ভিজিটরদের জন্য একাধিকবার প্রবেশযোগ্য (multiple-entry) ভিসা সীমিত করে একবার প্রবেশযোগ্য (single-entry) ভিসায় রূপান্তর করা হয়েছে, যা মাত্র ৩০ দিনের জন্য বৈধ থাকবে।

এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো হজ মৌসুমে অনিয়ন্ত্রিত ভ্রমণ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি। অনেকেই আগে একাধিকবার প্রবেশযোগ্য ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করে অবৈধভাবে হজ পালন করতেন। তাছাড়া, কিছু ভ্রমণকারী পরিবার বা ব্যবসা ভিসায় প্রবেশ করে অবৈধ কর্মসংস্থানে যুক্ত হতেন, যা সৌদি শ্রম বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত।

কারা প্রভাবিত হচ্ছেন?

নতুন এই ভিসা বিধিনিষেধ প্রভাব ফেলবে নিম্নলিখিত ১৪টি দেশের নাগরিকদের ওপর: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, ইথিওপিয়া, আলজেরিয়া, ইরাক, জর্ডান, মরক্কো, নাইজেরিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেন।

কোন ভিসাগুলোতে পরিবর্তন হয়নি?

হজ ভিসাও,মরাহ ভিসাকূ,টনৈতিক ভিসারে,সিডেন্সি (ইকামা) ভিসা।এই ভিসাগুলোর ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বহাল থাকবে।

ভ্রমণকারীদের জন্য করণীয়

হজ যাত্রীদের অবশ্যই আগেভাগেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করতে হবে।সঙ্গী (mahram) থাকলে, তার নাম যুক্ত করে আবেদন করতে হবে।পর্যটক, ব্যবসায়ী ও পরিবারভিত্তিক ভ্রমণকারীদের এখন থেকে প্রতিবার নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।ভিসা প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তাই আগেভাগেই পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

ভিসা নীতির প্রভাব

এই পরিবর্তনের ফলে বিমানের টিকিট বুকিংয়ে অস্থিরতা, হোটেল রিজার্ভেশনে ঘাটতি, এবং সামগ্রিকভাবে পর্যটন খাতে পরিবর্তন আসতে পারে। যারা নিয়মিত সৌদি আরব যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।সৌদি সরকার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত Vision 2030-এর অংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য পর্যটন খাতকে বিকশিত করা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণকে আরও সুসংগঠিত করা।

উপসংহার

বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ভ্রমণকারীদের এখন থেকে সৌদি আরবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। নিয়ম মেনে চললে ভবিষ্যতে ভ্রমণ সহজ ও নিরাপদ হবে। এছাড়া, হজ পালন করতে ইচ্ছুকদের জন্য দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করাই হবে সফল হজ যাত্রার চাবিকাঠি।

✅এ ধরনের আরো সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন

Next Post Previous Post